Desher Ponno – দেশের পণ্য

সুস্থতার জন্য বেছে নিন বিশুদ্ধ ও খাঁটি পণ্য

মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধু প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার। প্রাচীনকাল থেকেই এটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি শুধু খেতেই মিষ্টি নয়, বরং এতে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। এই ব্লগে আমরা মধুর খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো ।

মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধুর উপাদান

মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ। ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ। ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশমন্টোজ । এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।

 উপকারিতা

 
  • শক্তি প্রদায়ী: মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • হজমে সহায়তা: এতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। কারণ, এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে। পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
  • রক্তশূন্যতায়: মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ, এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
  • অনিদ্রায়: এছাড়াও রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
  • যৌন দুর্বলতায়: পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

খাঁটি মধু অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন

  • মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়: মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। 
  • পাকস্থলীর সুস্থতায়: মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে । এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
  • তাপ উৎপাদনে: শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।
  • রূপচর্চায়: মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।
  • ওজন কমাতে: মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে।
  • গলার স্বর: গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।
  • তারুণ্য বজায় রাখতে: এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়।
  • আমাশয় ও পেটের পীড়া নিরাময়ে: আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে।
  • হাঁপানি রোধে: মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।

খাঁটি ঘী, মধু অর্ডার করতে ক্লিক করুন

  • উচ্চ রক্তচাপ কমায়: দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। 
  • রক্ত পরিষ্কারক: এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস  মিশ্রণ খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। 
  • রক্ত উৎপাদনে সহায়তা: রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে।
  • হৃদরোগে: এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্রোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃৎপেশিকে সবল করে এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়: মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। 

খাওয়ার নিয়ম 

  • সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • উষ্ণ গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
  • চা বা কফির সাথে মিশিয়ে বা সরাসরি চেটে খাওয়া যেতে পারে। 

আমাদের সকল প্রকারের মধু দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Scroll to Top